Image Description

ফেরাউনের জনপদ এবং প্রাচ্য-পাশ্চাত্য - মধ্যপ্রাচ্য

৳390
Format Hardcover
Language Bangla
ISBN 978-984-20-0591-6
Edition 1st
Pages 158

‘ভ্রমণ’- যার ইংরেজি শব্দ ‘ট্রাভেল’-এর অর্থ কী সেটা নিয়ে এখন আর কেউ কথাই বলে না। ধরেই নেয়া হয়েছে যে এর অর্থ ঘুরে বেড়ানো, কিন্তু যদি ইংরেজি অভিধানের দিকে তাকানো যায় তবে দেখা যায়, ‘ট্রাভেল’ শব্দটি ফ্রান্সের ‘ট্রাভেইল’ শব্দ থেকে এসেছে। এর অর্থ কাজ। ১৪শ শতাব্দীতে ওয়েবস্টারের অভিধানে এ শব্দ প্রথম পাওয়া যায়। অভিধানে আরও বলা হয়, এ শব্দের অর্থ ছিল পরিশ্রম, সংগ্রাম, ভ্রমণ ও কাজ। অর্থাৎ ভ্রমণ শব্দটির অর্থ ছিল কাজ অথবা ক্লান্তি। তবে ভ্রমণ আমাকে কখনও ক্লান্ত করেনি। শতাধিক রাষ্ট্র ভ্রমণ করেছি, কখনও ক্লান্ত হয়নি। জানি না কেন সব সময় একরকম আনন্দ ও উৎসাহ পেয়েছি ভ্রমণে। ভ্রমণে আছে ভয় ও আনন্দ। প্রায় প্রতি মাসেই আমি নতুন জায়গা ভ্রমণ করি এবং সেটা বেশ চ্যালেঞ্জের। নতুন মানুষ, নতুন সংস্কৃতি ও নতুন খাবার। এ সবকিছুর সাথে মানিয়ে নেয়া বেশ কষ্টের ব্যাপার। অর্থনৈতিক সচ্ছলতার সাথে সাথে শারীরিক ও মানসিক জোরেরও প্রয়োজন আছে ভ্রমণে। এছাড়া অন্যের সংস্কৃতিকে মেনে নেবার মতন উন্নত মানসিকতা পোষণ করবারও দরকার। বিদেশে কেউই জানে না কখন কী হবে? সব সময়ই রয়েছে একরকম অনিশ্চয়তা। এর মাঝেও আমি পেয়েছি প্রশান্তি। বইটির নাম দিয়েছি ফেরাউনের জনপদ এবং প্রাচ্য-পাশ্চাত্য-মধ্যপ্রাচ্য। এটি একটি ভ্রমণ ডায়েরি। এখানে মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে ইউরোপ, জাপানসহ মিশরের কাহিনি বর্ণনা করা আছে। বর্ণিত দেশগুলোতে আমি বহুবার ভ্রমণ করেছি। যতবার ভ্রমণ করেছি ততবার আমি আবিষ্কার করেছি নতুন কিছু। মনে হয় এ বিশ্ব আমি যত দেখি ততই নতুন। বইটি আমি শুরু করেছি মধ্যপ্রাচ্য থেকে। মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্কে আমাদের নানা ভুল ধারণা আছে, সেগুলো আমি কিছুটা বর্ণনা করার চেষ্টা করেছি। বইটি দুবাই ও তুরস্কে পুনঃপ্রকাশ করা হয়েছে। ঘটনার ধারাবাহিকতার কারণেই সেটা করা হয়েছে। তারপর বর্ণনা করেছি ইংল্যান্ডের, যা একসময় আমাদের কাছে বিলাত বলে পরিচিত ছিল। তারপর আমি চলে গিয়েছি মিশরের বর্ণনায়, যেখানে সভ্যতার শুরু হয়। এরপর আমি জাপানের কিছু ঘটনা বর্ণনা করেছি। জাপান সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত পড়তে পারবেন আমার জাপান নিয়ে বইটিতে, যার কাজ এখনও চলছে। তবে এখানে আমি অল্প কিছু ঘটনার বর্ণনা করেছি। চেষ্টা করি ভালোবাসা নিয়ে লিখতে। আপনাদের ভালো লাগাতেই সার্থকতা।

Prof. Dr. Tania Hossain / প্রফেসর ড. তানিয়া হোসেন

প্রফেসর ড. তানিয়া হোসেন শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও ভাষাতত্ত্ববিদ। ৩ জুলাই ঢাকায় জন্ম। বাবা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার কাজী শাহাদাৎ হোসেন, মা ফরিদা হোসেন। তাঁরা চার ভাই-বোন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স-মাস্টার্স। জাপানে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিশ্চিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজি ভাষাতত্ত্বে ডক্টরেট। কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু। জাপানের প্রাথমিক স্কুলে ইংরেজি শিক্ষা প্রদান, জাতিসংঘে কাজ, জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে খ-কালীন শিক্ষকতা এবং বর্তমানে জাপানের ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তিনি ভারতবর্ষে ইংরেজি ভাষার ব্যবহার ও তাৎপর্য সম্পর্কে গবেষণা করেন। রাষ্ট্রের অসম শিক্ষাব্যবস্থা, ভারতবর্ষের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য, ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে তাঁর বহু প্রবন্ধ দেশে-বিদেশে নানা জার্নালে প্রকাশিত হয়। বিশ্বের নানা দেশে পেপার উপস্থাপনা করেছেন অসংখ্য, প্রকাশিত বই ১০টি। এর মাঝে রয়েছে কবিতা, উপন্যাস ও ভ্রমণ কাহিনী, হুমায়ূন আহমেদের বই ইংরেজিতে অনুবাদ। শতাধিক রাষ্ট্র ভ্রমণ। বিশ্ব ভ্রমণ পাঁচ বার। ৬০টির ওপর পেপার কনফারেন্সে উপস্থাপন করেছেন। ভ্রমণে বিভিন্ন সমাজের ধারা জানার চেষ্টারত। বহুভাষাবিদ এবং ভাষাবিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণায় রত। তিনি ভাষা জানেন চারটি, দোভাষীর কাজও করেন। স্বামী ভারতীয় বংশোদ্ভূত এবং বিমানের পাইলট। এক কন্যাসন্তান তাদের।