মরাগাঙে ডুবসাঁতার
সব স্মৃতি সুখাবহ নয়। তবু মনে মস্তিষ্কে এর সোৎসাহ লালন মানবচরিত্রের একটি সহজাত বৈশিষ্ট্য। স্মৃতি অনুভবের আর্শিতে প্রতিবিম্বিত সুখ দুঃখ, বিরহ বেদনা, প্রেম ভালোবাসার ভাঙ্গা ভাঙ্গা চিত্র মাত্র। ওটা লিপিবদ্ধ করার বিষয় নয় মোটেও। তবু কেউ কেউ তা করে থাকনে। যেমন করা হয়েছে ‘মরাগাঙে ডুবসাঁতার’ গ্রন্থে। স্মৃতির পর্দায় বাঙময় হয়ে ওঠে কতো প্রিয় মুখ, পাওয়ার আনন্দ, হারানোর বেদনা, অনভিপ্রেত ঘটনা দুর্ঘটনা। অমরা কখনো কাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টির সহায়ক হই। আবার কখনো হতে হয় অবাঞ্ছিত অবস্থার শিকার। সবকিছু মিলিয়েই তো জীবন। সে জীবন সব সময় চলমান। অলস মুহূর্তে অতীতকে আমরা বর্তমানে নিয়ে আসি। কিন্তু বর্তমানকে পেছনে নিয়ে যেতে পারি না। এটা আমাদের মস্তবড়ো একটা ট্রাজেডি। কি কারণে জানি না, অতীতের প্রতি আমাদের আকর্ষণ দুর্নিবার। হয়তো সে জন্যই স্মৃতিচারণায় এতো আনন্দ, সুখ সুখ ভাব। কি আশ্চর্য, ফেলে আসা দিনের দুঃখ বেদনার স্মৃতিতেও যেন পুলকিত হওয়ার উপকরণ থাকে! সময়ের ব্যবধানে স্মৃতির পাতাগুলো বিবর্ণ হয়ে গেছে। মহাকালের মরাগাঙে ডুবসাঁতার দিয়ে ওগুলোর কিছু কিছু উদ্ধার করা গেলেও পুরোপুরি পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হলো না। তবুও মরাগাঙে ডুবসাঁতার দিতে পেরে আমি মোটামুটি খুশি। অ্যাডর্ন পাবলিকেশন এর পরিচালক প্রিয়ভাজন সৈয়দ জাকির হোসাইন এবং বিশিষ্ট ছড়াকার, এক সময়ের সহকর্মী সাংবাদিক নূর মোহাম্মদ রফিক এর নিকট আমি কৃতজ্ঞ। তাঁরা সাহার্য সহযোগিতা না করলে আমার এ প্রয়াস সফল হতো না।