ভালোবাসার শিকড়ে সমর্থ বৃক্ষের গান
কবিতার ভুবনে মোস্তফা পাশার বিচরণ দীর্ঘকাল। দেশ ও কবিতার প্রতি তার ভালোবাসার শিকড় অনেক গভীরে প্রোথিত। বিন্দু থেকে বৃত্ত রচনা কিংবা শিকড় থেকে শেখরে উঠার ইচ্ছা কখনো পোষণ করেন নি তিনি। রোপিত বীজ শাখা-প্রশাখায় বিস্তৃত হয়ে হবে মহিরুহ - ভাবনায় ঠাঁই পায়নি কখনো। কবিতা লিখে কবি নামধারণ করবেন তা ছিলো স্বপ্নেরও অতীত। তবে নিজের মধ্যে তরঙ্গায়িত অনুভূতির বহিঃপ্রকাশের শুরু সেই কতকাল। মাঝে যতিচিহ্ন-জীবনের বেগের কাছে আবেগের সাময়িক পরাজয়। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আবারো আলোর পথের দেখা - সমর্থ বৃক্ষের গান গাওয়ার প্রয়াস। প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের অনুভূতি চিকিৎসক হিসাবে দেখা প্রথম প্রসবের আনন্দ-বেদনা-উৎসবের সাথে তুলনা করলে অত্যুক্তি করা হবে না। এ গ্রন্থ প্রকাশের মাধ্যমে কবিতার পুরনো খাতার স্যাঁতসেঁতে হলদে পাতাগুলো সূর্যালোকে মেলে ধরার প্রয়াসের পাশাপাশি সুযোগ হয়েছে সম্প্রতি লেখাগুলোর ঝরঝরে সকালের সতেজ রৌদ্র দেখার। কবিতাগুলোতে রয়েছে তারুণ্য ভরা আশির দশক ও পরিণত বেলার আবেগ-উচ্ছ্বাস-ভালোবাসা সর্বোপরি তার পরিচয়-উপলব্ধি-দৃষ্টিভঙ্গীর সহজ অথচ দৃঢ় উচ্চারণের প্রকাশ ও মিথস্ক্রিয়া। কবিতাগুলো পড়ার সময় লেখার সময়কাল বিবেচনায় নিলে বোধকরি বিষয়টি স্পষ্ট হবে।