Image Description

ক্ষীরের পুতুল

৳75
Format Paperback
Year 2017
Language Bangla
ISBN 978 984 20 1072-9
Edition adorn 1st
Pages 36

এক রাজার দুই রানী- দুও আর সুও। সুওরানী সাতমহল বাড়িতে থাকেন। তার বড় আদর, বড় যত্ন। আর দুওরানীকে রাজা বিষনয়নে দেখেন। তার বড় অনাদর, অযত্ন। একদিন রাজা বাণিজ্যে গেলেন। সুওরানীর কথামতো মানিকের চুড়ি, আগুনের বরণ মল, মুক্তোর হার আর বাতাসের মতো ফুরফুরে শাড়ি আনলেন। দুওরানীর জন্য আনলেন এক পোড়ামুখ বানর। সেই পোড়ামুখ বানরের বুদ্ধির গুণে সুওরানী ফিরে পেলেন তার স্বামী-সন্তান, রাজবাড়ির আরাম-আয়েশ।

শিশুদের জন্য এই মজার কাহিনিটি লিখেছেন গল্পের জাদুকর অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ক্ষীরের পুতুলের মতো নির্বাচিত কিছু চিরকালের গল্প নিয়ে অ্যাডর্নের ‘চিরকালের গল্প’ সিরিজ। সিরিজের প্রতিটি গল্পে লেখকের ভাষা সম্পূর্ণ রক্ষা করা হয়েছে। শিল্পী সোহাগ পারভেজ এই গল্পটিকে চিত্রের মাধ্যমে নতুন করে চিত্রগল্প তৈরি করেছেন।

Abanindranath Tagore / অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর

অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৭১-১৯৫১)। জন্ম জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে। পিতা গুণেন্দ্রনাথ ছিলেন আর্ট স্কুলের প্রথম যুগের কৃতী ছাত্র। ঠাকুরবাড়ির প্রথা অনুসারে অবনীন্দ্রনাথ গৃহেই প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভের উদ্দেশ্যে কিছুদিন সংস্কৃত কলেজে পড়েন। পারিবারিক শিল্পচর্চার পাশাপাশি তিনি পাশ্চাত্য অঙ্কনপদ্ধতির পাঠ গ্রহণ করেন।

নিজস্ব রীতি ও পথ আবিষ্কারের পর তিনিই নিহ্যাভেল, রদেনস্টাইন, আনন্দকুমারস্বামী, ভগিনী নিবেদিতা প্রমুখের উৎসাহে ভারতীয় শিল্পকলার হারানো ঐতিহ্যের পুনরুদ্ধারে ব্রতী হন। ভারতীয় রীতিতে আঁকা তাঁর প্রথম প্রয়াস কৃষ্ণলীলা বিষয়ক চিত্রাবলি। এই রীতি-অনুসারী শিল্পের তিনি নবজন্মদাতা।

দেশে এবং বিদেশে তাঁর চিত্রপ্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে । পিতৃব্য রবীন্দ্রনাথের প্রেরণায় চিত্রশিল্পী অবনীন্দ্রনাথের আত্মপ্রকাশ কথাশিল্পী-রূপে। তাঁর বহু বিচিত্র ও বিখ্যাত বইগুলির মধ্যে ক্ষীরের পুতুল, বুড়ো আংলা, রাজকাহিনী, ভারত শিল্প, ভারত শিল্পের ষড়ঙ্গ, শিল্পায়ন, নালক প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য । অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯২১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাগেশ্বরী অধ্যাপক নিযুক্ত হন। এবং ১৯৪২ সালে রবীন্দ্রনাথ প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতীর আচার্যের পদ গ্রহণ করেন ।