ভূতের গলির লক্ষ্মী ভূত
৳100
ছেলেবেলা থেকে ভূতের বাড়ি খুঁজে হয়রান। মহল্লার কতো বাড়িকে যে ভূতের বাড়ি বলে জানতাম। ঐ বাড়ির দিকে তাকাতামই চোখ বুঁজে। সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় শরীর হিম হয়ে আসতো। শুধুই কি বাড়ি? কোনো কোনো পথের নামও যে ছিল ভূতের নামে। সেই পথে হেঁটে যাই কিংবা রিকশায়, পুরো পথ চোখ বুঁজেই থাকতাম। চোখ বুঁজে যেন ভূতেদের শরীর দেখতে পেতাম। কারো শরীর বাঁশঝাড়ের মতো। কেউ তালগাছ হয়ে হেঁটে আসছে যেন আমার দিকেই। শরীরে বাতাস ছুঁয়ে গেলেও ভাবতাম ভূত এসে আমাকে জাপটে ধরছে। বড়বেলায় ভূতকে শাস্তি দেবার জন্যই ঐ বাড়িগুলোতে ঢুঁ দেই। গর্জন করতে করতে ঢুকে পড়ি ভূতের গলিতেও। অবাক হই। ওমা একি, কোনোটাই তো ভয়ঙ্কর কেউ নয়। কামড়ে খাবে, ঘাড় মটকে দেবে এমন ভূত যে নেই কোথাও। সবাই যে..। হুম তোমাদেরকেও বলে রাখছি- কোথাও কোনো দুষ্টু ভূত নেই। সব ভূত লক্ষ্মী!