চুনমুখো চাঁদরাতে
একটি রহস্যময় বই আর রুম নম্বর ২০৪। প্যারাসাইকোলোজি কীভাবে কাহিনির স্তরে স্তরে সাজানো যায়, গল্পের বুনন কীভাবে সেই রহস্যের ধূম্রজালকে আরো জটিল করে তুলতে পারে, তার গাঁথুনি দেখতে পাওয়া যায় গল্পটির ছত্রে ছত্রে। চুনমুখো চাঁদনীর মধ্যে সুন্দরবনের শীত রাতে যে ঘটনা ঘটে গেল- তা কেবল কল্পনায় নির্মাণ করা সম্ভব নয়। ফাইল সই, নগরীয়, আমিরুল ও একটি বিল বোডর্, ব্যাচেলর্স হোম, ভাবি যখন আহমেদকে খুঁজে পেল, শাহীমুনের প্রেম-পুরুষ কিংবা চাই মে প্রুÑ প্রতিটি গল্পের আদল, উপমা, প্রতীকী রূপ এক অভাবিত বিচিত্র ভিন্নসুরে ছাপিয়ে গেছে একে অন্যকে। বলা যায়, এই গল্প সংকলনের নয় কাহিনি শুধু কাহিনি নয়। মানবচরিত্রে আঙিনায়, অলিন্দে, অন্দরমহলে যেভাবে উঁকি মেরেছেন গল্পকার জামাল উদ্দীন, তার উদাহরণ খুব সহজদৃষ্ট নয়। যে মানসিক জটিলতায়, বিস্ময় ও বিপন্নতায় টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এই নয়টি কাহিনিকে, তার নেপথ্যে রয়েছে যেসব মনস্তত্ত্বÑ তার নিপুণচিত্রের প্রকাশ এই গল্পগ্রন্থের মতো আর কি কোথাও হয়েছে? পাঠকের কল্পনার ফানুস এসব গল্পপাঠের ভেতর দিয়ে উড়তে থাকবে বিচিত্র রহস্যময় সব আসমানে। পাঠককে আহ্বান জানাই সেই অদেখা আকাশে অবারিত ডানায় ভেসে বেড়াবার।