Image Description

বাংলার সভ্যতা ও সংস্কৃতি

৳360
Format Hardcover
Language Bangla
ISBN 978-984-20-0456-8
Edition 1st
Pages 168

এই উপমহাদেশের সভ্যতা ও সংস্কৃতির আদি কেন্দ্র হরপ্পা ও মোহেনজোদারো, যার ওপর ভিত্তি করে এতদঞ্চলে সভ্যতা ও সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। যেমন বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের। আর এর ওপর ভিত্তি করে রচিত এই গ্রন্থ, যা কিনা বর্তমান বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রভুক্ত এলাকা; এর সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংস্কৃতি বিষয়ক ঘটনাসমূহ উল্লিখিত হয়েছে। প্রাচীন ও মধ্যযুগের সিন্ধু সভ্যতা ও সংস্কৃতি, পূর্ব ভারতের বিশেষ করে বাংলাদেশের সভ্যতার উত্থান-পতনের কারণগুলো নতুনভাবে পর্যালোচনা করা, অন্যদিকে আদি বাসস্থান সম্পর্কিত তথ্য গুপ্ত, পাল, কুষাণ ও সুলতানি আমলের ইতিহাস সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। তাছাড়া শিল্প, সাহিত্য, কবিতা, প্রেম, আবেগ, নৃত্য, গীত ও লোকশিল্পের বিষয়গুলি বিস্তারিতভাবে উল্লিখিত হয়েছে। দেশ ও বিদেশের খ্যাতিমান ব্যক্তিদের সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিষয়ক আলোচনা, জাতিভেদের নিষ্পেষণ এবং নিপীড়নের কারণ বলা হয়েছে। এছাড়া এ গ্রন্থে বর্তমান বিশ্বের সাংস্কৃতিক আগ্রাসনসহ বাংলাদেশের ভাষা ও সংস্কৃতির আগ্রাসণের দিকটি উঠে এসেছে। আগামীতে আমাদের সংস্কৃতি ও সভ্যতা অন্য দেশ থেকে আনতে হবে। ভাষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, শিক্ষা খুইয়ে একটি জাতির আত্মপরিচয়হীন হয়ে পড়লে যেমনটি হয় বাঙালি জাতির যেন সেই দশা আজ। বিশ্বায়নের যাতাকলে বাঙালি জাতি আত্মপরিচয় নিয়ে কতদিন টিকে থাকতে পারবেÑসেটিই এখন মৌলিক প্রশ্ন। এ গ্রন্থ সেই মৌলিক প্রশ্নের অনুসন্ধানেরই প্রয়াস।

Syed Lutful Haque / সৈয়দ লুৎফুল হক

১৯৪৯ সালে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাধারে শিল্পী, সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও কবি। তাঁর চিত্রকলা বিষয়ক গবেষণালব্ধ প্রবন্ধ, জীবনবোধ বিষয়ক কবিতা সুধী সমাজে ইতোমধ্যে সমাদৃত । তাছাড়া চিত্রকলার ক্ষেত্রে বাস্তবধর্মী বিষয় ও জীবনের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে, যা সহজেই মানুষকে স্পর্শ করে যেমনটি তাঁর লেখা ও কবিতায় প্রতিফলিত হয়েছে। দীর্ঘদিন সংবাদপত্রে কাজ করার কারণে তাঁর নিয়মিত ছবি আঁকার বিষয়টি হয়ে ওঠেনি। তথাপি সময় পেলেই ছবি আঁকার চর্চাটি অব্যাহত রেখেছেন। ১৯৮৬ সালে তাঁর প্রথম এককচিত্র প্রদর্শনী তৎকালীন শেরাটন হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। লেখাপড়া করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন আর্ট ইনস্টিটিউটে। তারপর কর্মজীবনে প্রথমে দৈনিক ইত্তেফাক, মর্নিং নিউজ, দৈনিক বাংলা, সাপ্তাহিক বিচিত্রা, পাক্ষিক আনন্দ বিচিত্রা তারপর দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্টে শিল্প সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি শুধু ছবিই আঁকেননি, কাঠ মেটালের ম্যুরাল, টেরাকোটা ও মোজাইক ম্যুরাল নির্মাণসহ বইয়ের প্রচ্ছদ, নাটক ও সিনেমার অসংখ্য ডিজাইন অংকন করেছেন। তিনি যমুনা মাল্টিপারপাস ব্রিজের ডিজাইন কনসালট্যান্ট ছিলেন। তিনি নেদারল্যান্ডস সরকারের বৃত্তি নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল গ্রাফিক ডিজাইন, ফটোগ্রাফি ও ম্যানেজমেন্টের ওপর উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। টেক ইন্টারন্যাশনাল-এর মাধ্যমে লিডারশিপ অন সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট, প্রফিটেবল নেগোসিয়েশন ও সুপারভাইজরি ম্যানেজমেন্টের উপর আন্তর্জাতিক সনদ লাভ করেন। সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনাগুলোর ডিজাইন তাঁর মাধ্যমেই হয়ে থাকে। যেমন ইউনিসেফ, ওয়ার্ল্ড হেলথ ইত্যাদি। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে তিনি সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের ওপর রচিত গুরুত্বপূর্ণ বইগুলির নকশা তাঁরই করা। তাঁর রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে সংবাদপত্রের ডিজাইন, চিত্রকলা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি হাজার বছরের ঢাকার চিত্রকলা, ঢাকাই মসলিন, বিস্ময়কর আরব চিত্রকলা এবং ছড়ার বই কত কথা কত মজা উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে তাঁর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বই প্রকাশিত হওয়ার পথে। এর মধ্যে মহুয়া মলুয়ার দেশে, চিরায়ত চিত্রশিল্পী ইত্যাদি। সৈয়দ লুৎফুল হকের এই বইগুলি বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়। তাছাড়া আগামী প্রজন্মের কাছে চিত্রকলা, ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সভ্যতার সম্যক ধারণা দেবে বলেও আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। ডক্টর মুস্তফা মজিদ