অম্বা আখ্যান
সমাজের মূল স্রোতধারার বাইরে উপেক্ষিত প্রান্তিকদের জীবনধারা নিয়ে অম্বা আখ্যান রচিত। পৌরাণিক ব্যাখানুযায়ী মহাভারতের অম্বাই হল শিখণ্ডী। তাই সকল শিখণ্ডী নিজেকে অম্বার উত্তরসূরি বলেই মনে করে। সেই অর্থে উপন্যাসটির নামকরণ অম্বা আখ্যান। এই আখ্যানে জোনাকীর যে জীবন সংগ্রাম তাতে শিখণ্ডী জীবনযন্ত্রণার এক মর্মন্তুদ চিত্র ফুটে ওঠে। জন্ম থেকে শুরু করে পরিবারে থাকা, পরিবার থেকে ছিটকে পড়া, নিজের ভিটেমাটি থাকা সত্ত্বেও পেটের তাগিদে ঘুরে ঘুরে ঢোল-তবলা, গান-নাচকে উপজীব্য করে পয়সা উপার্জন এবং ওদের ভাষা, ওদের মিশ্র ধর্ম পালন, সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতির খণ্ড খণ্ড চিত্র রয়েছে এই আখ্যানে। অম্বাদের শরীর পাল্টায় কিন্তু মনটা ঠিক আমাদের মতই এই সত্যটিও বলার চেষ্টা হয়েছে। সেই মন চায় আদর, বন্ধু, প্রেম, জীবনসঙ্গী আর সন্তান। মানুষ হিসেবে তাদের চাওয়ার সাথে আমাদের চাওয়ার কোনো অমিল নেই। শুধু পাওয়ার ক্ষেত্রে যোজন যোজন পার্থক্য। জোনাকি কাজলীরও ঠিক এমন অবস্থা। এসবই অম্বা আখ্যানের উপজীব্য।