পুরুষসমগ্র
শেলী নাজের কবিতা শুরু থেকেই ভাব ও স্বরের স্বাতন্ত্র্যে স্পন্দমান। তিনি শোনাতে চেয়েছেন নারীতন্ত্রের নিজস্ব কণ্ঠস্বর। সে কণ্ঠস্বর স্বাধীন, সার্বভৌম, স্বশাসিত নারীরই, যা পুরুষ-নির্দেশিত নয়। কিন্তু যে সামষ্টিক নারীর কথা তাঁর কবিতায় অর্থ ও সৌন্দর্য সৃষ্টি করে, তাতে তিনি রেখে চলেন ব্যক্তি-নারীর নিজস্ব পরিচয়চিহ্ন। ফলে ব্যক্তিতা ও সমগ্রতা একাকার হয়ে যায়। তাঁর কবিতা মানে ব্যক্তি-নারীর অনুভূতি ও চৈতন্য পেরিয়ে সার্বিকের বিপুল পৃথিবীতে আত্ম-অনুসন্ধানের অভিজ্ঞতা। এ পৃথিবী অবধারিতভাবে পুরুষেরই। এর সৃষ্টিশীল প্রতিপক্ষ শেলী নাজের কবিতা। প্রেমে, ঘৃণায়। পুরুষসমাজ নারীর যে ভাবমূর্তি গড়ে দিয়েছে, নির্ধারণ করে দিয়েছে নারীর যে মৌল ভূমিকা, তার প্রবল বিরোধিতায় ক্ষুরধার হয়ে উঠেছে তাঁর কবিতা। শেলী নাজের সাতটি কবিতাগ্রন্থ থেকে বাছাই করে প্রণীত হলো পুরুষসমগ্র। পুরুষকে দেখার, অনুভবের ও চেনার এক মহৎ নারীবাদী শিল্পকলা। এ প্রয়াস বাংলা সাহিত্যে এর আগে দেখা যায়নি।