Image Description

পড়ন্ত বেলার গল্প

৳750
Format Paperback
Language Bangla
ISBN 978 984 20 0407-0
Edition 1st
Pages 392

মানুষ জীবনসায়াহ্নে এসে তার ফেলে আসা অতীত জীবনে ফিরে যেতে চায়। তাতে তার আনন্দ, তাতে তার তৃপ্তি ও সান্ত্বনা। এটাই জীবনের ধর্ম। এই ধর্মকে স্বীকৃতি দিতেই মানুষ জীবনচক্রের অর্থ খুঁজে পায়। চক্রের ঘূর্ণায়মান কাঁটা শৈশব থেকে যৌবন, যৌবন থেকে প্রৌঢ়, প্রৌঢ় থেকে বৃদ্ধÑ এই আবর্তে মানুষ তার শৈশব, যৌবন ও পরিণত বয়সের জীবনকে খুঁজে। এ বি এম হোসেন এই চক্রাকার পথ ধরেই রচনা করেছেন তাঁর আত্মজীবনীটি। এটি লেখকের কাছে নিছক স্মৃতিচারণ হলেও পাঠক এর মধ্যে শতাব্দীর সামাজিক ইতিহাসের খুঁটিনাটিও খুঁজে পেতে পারে। জানতে পারে তাঁর কালের মানবিকতা এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ছোটখাটো অথচ উল্লেখযোগ্য নানা ঘটনা। জীবনের পড়ন্ত বেলায় এসে লেখক তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনকে যেমন অনুভব করেছেন তারই চিত্র এঁকেছেন এই গ্রন্থে যথাযথভাবে এবং একজন ঐতিহাসিকের অনুসন্ধিৎসু দৃষ্টিতে।

A B M Hossain / এ বি এম হোসেন

পুরো নাম আবুল বাশার মোশারফ হোসেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমিরিটাস ও ইসলামী শিল্পকলা বিষয়ের বিশেষজ্ঞ। তাঁর জন্ম ১৯৩৪ সালে কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলায় ধামতী গ্রামে। দেবীদ্বার হাই স্কুল, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক সম্মান ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের সাফল্যে তৎকালীন পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকার উচ্চশিক্ষার নিমিত্তে তাঁকে মেধাবৃত্তি দিয়ে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেরণ করেন। সেখানে তিনি ১৯৫৮ ও ১৯৬০ সালে ইতিহাস ও ইসলামিক আর্কিওলজিতে যথাক্রমে বিএ অনার্স ও পিএইচ.ডি লাভ করে মেধার স্বাক্ষর রাখেন। ১৯৬০ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা আরম্ভ করেন এবং ১৯৭২ সালে পূর্ণ প্রফেসর পদে উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে তিনি বিভাগীয় প্রধান, চেয়ারম্যান, কলা অনুষদের ডীন ও প্রশাসনিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছিলেন। তিনি ২০০১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম প্রফেসর এমিরিটাস হিসাবে সম্মাননা প্রাপ্ত হন। তাঁর নিবিড় গবেষণার বিষয়বস্তু ইসলামী শিল্পকলা হলেও তিনি তাঁর মূলধারার বিষয় মধ্যপ্রাচ্যের সামগ্রিক ইতিহাস থেকে বিচ্যুত হননি। তাঁর দীর্ঘ শিক্ষাজীবনের গবেষণা ও অভিজ্ঞতার ফসল সাম্প্রতিক প্রকাশিত বর্তমান মধ্যপ্রাচ্য ইতিহাসের গ্রন্থটি (২০১১ সালে ইউজিসি অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত)। তাঁর লিখিত গবেষণা গ্রন্থের সংখ্যা অদ্যাবধি ১১। ১৯৭৭ সালে নরওয়েজিয়ান পার্লামেন্ট তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য গঠিত বোর্ডে তাদের মনোনীত সদস্য নির্বাচিত করেন। তিনি বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি ও বাংলা একাডেমির সম্মানিত আজীবন ফেলো।