কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
মানবসভ্যতা আজ বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের এক নতুন সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে। কম্পিউটার বিপ্লবের পর সূচিত হতে চলেছে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির এই বৈপ্লবিক ও নতুন সম্ভাবনা- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। ইতিমধ্যে কম্পিউটার তথা যন্ত্র-বিজ্ঞানের ব্যাপক উন্নয়ন ও বহুল ব্যবহারের বদৌলতে উন্মোচিত হতে বসেছে যান্ত্রিক ব্যবহার সামগ্রীর বুদ্ধিমত্তার পরিচয়। তাই দিনকে দিন কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন যন্ত্রসামগ্রী গভীর পর্যবেক্ষণ ও অনুধাবনের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রাকে আরো সহজ করে তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে যান্ত্রিক প্রযুক্তির অপপ্রয়োগের ফলে তা ভুল পথেও ধাবিত হতে পারে তার আলামতও মিলছে। তাই বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়টি উৎসাহব্যঞ্জক হলেও এর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা প্রশ্নসাপেক্ষ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-বিশেষজ্ঞ না হয়েও হুমায়ূন কে. এম. এ. হাই মূলত মস্তিষ্ক বিজ্ঞানের দিক থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এসব প্রসঙ্গ আলোকপাতের চেষ্টা করেছেন সল্পপরিসরে। আশা করা যায় বইটি পড়ে যে কোনো বিজ্ঞানমনস্ক পাঠক, বিশেষ করে নবীন পাঠক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে অাগ্রহী হয়ে উঠবে।