Image Description

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

৳100
Format Paperback
Language Bangla
ISBN 978 984 20 0079-9
Edition 1st
Pages 72

মানবসভ্যতা আজ বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের এক নতুন সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে। কম্পিউটার বিপ্লবের পর সূচিত হতে চলেছে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির এই বৈপ্লবিক ও নতুন সম্ভাবনা- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। ইতিমধ্যে কম্পিউটার তথা যন্ত্র-বিজ্ঞানের ব্যাপক উন্নয়ন ও বহুল ব্যবহারের বদৌলতে উন্মোচিত হতে বসেছে যান্ত্রিক ব্যবহার সামগ্রীর বুদ্ধিমত্তার পরিচয়। তাই দিনকে দিন কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন যন্ত্রসামগ্রী গভীর পর্যবেক্ষণ ও অনুধাবনের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রাকে আরো সহজ করে তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে যান্ত্রিক প্রযুক্তির অপপ্রয়োগের ফলে তা ভুল পথেও ধাবিত হতে পারে তার আলামতও মিলছে। তাই বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়টি উৎসাহব্যঞ্জক হলেও এর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা প্রশ্নসাপেক্ষ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-বিশেষজ্ঞ না হয়েও হুমায়ূন কে. এম. এ. হাই মূলত মস্তিষ্ক বিজ্ঞানের দিক থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এসব প্রসঙ্গ আলোকপাতের চেষ্টা করেছেন সল্পপরিসরে। আশা করা যায় বইটি পড়ে যে কোনো বিজ্ঞানমনস্ক পাঠক, বিশেষ করে নবীন পাঠক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে অাগ্রহী হয়ে উঠবে।

Humayun K.M.A. Hye / হুমায়ূন কে. এম. এ. হাই

হুমায়ূন কে. এম. এ. হাই, জন্ম 4ঠা ফেব্রুয়ারি, 1931, কুমিল্লা। তাঁর ছাত্রজীবন কেটেছে কুমিল্লা, ফরিদপুর, রাজশাহী ও ঢাকায়। 1955 সালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এম. বি. বি. এস ও 1964 সালে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ. ডি. ডিগ্রি অর্জন করেন। পিএইচ. ডি. করার সময় তাঁর গবেষণার ক্ষেত্র ছিল নিউরো-ফার্মাকোলজী (মস্তিষ্কে বিশেষ বিশেষ ভেষজ পদার্থের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয়)। তিনি 1952 সালে ভাষা আন্দোলনে ও 1971 সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। কর্মজীবনে প্রথম পরেরো বছর তিনি পাকিস্তান/বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদে ঔষধ-বিষয়ক গবেষণার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। 1974 সাল থেকে তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন পদে কাজ করেন। বাংলাদেশে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তিনি প্রথম পরিচালক। সরকারী চাকুরী থেকে অবসরের পরে 1992 থেকে 1999 সাল পর্যন্ত তিনি বিশ্ব ব্যাংক ঢাকা অফিসে সিনিয়র কনসালট্যান্ট পদে কাজ করেন। বর্তমানে তিনি অবসরপ্রাপ্ত। বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত মানবমস্তিষ্ক তাঁর একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ।