বেড়াতে গিয়েছি মৃত মানুষের বাড়িতে
শৈশবে বাবার মুখে কবিতা শুনতে শুনতে নির্জন পুকুরের পাড়ে জ্যোৎস্নামাখা চাঁদ, কর্ণফুলীর ঢেউ, সাম্পান, ভিনদেশী জাহাজ, নাবিক, পরীর পাহাড় আর রুদ্র পলাশ দেখে দেখে মন গাংচিল হয়ে উড়ে যেত দূরে, পার্কি, বওটালরি, সমুদ্র মোহনায়। এভাবেই প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক অনুসঙ্গে স্বপ্ন এবং জীবনের বহুমাত্রিক দ্যোতনায় মিলেমিশে একাকার তার জীবন। অপার বিস্ময়ে, মুগ্ধতায় কবি ও কবিতাকে ভালবেসে ফেলেন। সেই থেকে লেখালেখি শুরু। পেশা ও সংসারের দুরূহ ব্যস্ততায় আজ অবধি নিভৃতে লিখে যাচ্ছেন। বলা যায়, স্বভাব-নিভৃতে লিখে যাচ্ছেন। বলা যায়, স্বভাব-নিভৃতচারী ও প্রচারবিমুখ এই কবি আজীবন রোমান্টিক উদ্বেলতায় নিজেকে ব্যাপ্ত রেখেছেন ভরা তারুণ্যে। তাই তার কবিতার প্রাণ প্রেম। জন্ম, মৃত্যু, প্রেম এই ত্রিভুজ দ্বন্দ্বে বেড়াতে গিয়েছিলেন মৃতদের বাড়িতে। স্বভাবজাত রোমান্টিকতায় ফের প্রত্যাবর্তন করেন খোলা বারান্দায়, মেঘের কষ্ট নিয়ে। কবি মুশফিক হোসাইন দীর্ঘদিন থেকে লিখছেন নিভৃতে।