কসাইয়ের স্কুল
পাওলো শাহি’র কবিতাগুলো এক ‘তুমি’কে নিয়ে, যাকে তিনি শৈশবের জমিনে চিহ্নিত করতে চেয়েছেন। শৈশবখোলাখাতা, গল্পবিক্রেতা, কসাইয়ের স্কুল শিরোনামেও সে প্রচেষ্টা দৃশ্যমান। তবে এই কবিতাগুলো পাবলো শাহি’র লেখা সমস্ত গ্রন্থ থেকেই একদম আলাদা। কী চারিত্র্যে, কী বোধে, কী বিষয়-বৈচিত্র্যে। তিনি তাঁর শৈশব থেকে উদ্ভিন্ন সারা জীবনের ‘তুমি’কে বেশ কিছু প্রকৃতির চিত্রের মাঝে যেন বিশিষ্ট করে ফেলেছেন। সেই সকল প্রকৃতিচিত্র এই প্রয়াসের মধ্যদিয়ে এক রূপক তাৎপর্যে প্রকাশিত হয়েছে। ডুমুর, ফড়িং, ছাতিম গাছ, দাঁড়কাক, বুনো সূর্য ইত্যাকার প্রকৃতি প্রতীক যৌথভাবে ব্যঞ্জনা তুলেছে তাঁর শৈশব মুহূর্ত, তাঁর রমণস্মৃতি সমূহে, তাঁর প্রেম ও নারীর চেতনায় এবং এমনকি কাম-চেতনায়ও। ফলে ঘোরলাগা শৈশবের চারধারের আপাততুচ্ছ বস্তুসমূহ শৈশবের ঘোরকে তার ‘ঘোরে’ রূপান্তর করে জন্ম দিয়েছে কতিপয় সুন্দর কবিতা।