বুদ্ধদেব বসুর উপন্যাসে নৈঃসঙ্গ্যচেতনার রূপায়ণ
রবীন্দ্রনাথের পর বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বহুমাত্রিক প্রতিভা। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তাঁর সাধনা রীতিমতো বিস্ময়সম্ভব। কবিতা-উপন্যাস- ছোটগল্প-নাটক-প্রবন্ধ-গবেষণা-অনুবাদ-ভ্রমণ- চিঠিপত্র-সাহিত্যের সব শাখাতেই তিনি রেখেছেন স্বকীয় প্রতিভার স্বাক্ষর। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে বুদ্ধদেব বসুর ঔপন্যাসিক-প্রতিভার উপর আলোকসম্পাতের প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। বুদ্ধদেব বসুর উপন্যাসে আধুনিক মানুষের নৈঃসঙ্গ্যচেতনা ও অনন্বয়বোধ কীভাবে এবং কোন মাত্রায় প্রতিবিম্বিত হয়েছে-তা-ই বর্তমান গ্রন্থের মৌল অন্বিষ্ট। সাহিত্যক্ষেত্রে ‘জীবন ও সাহিত্য’ কিংবা ‘সমাজচিত্র’ধর্মী প্রথাচল ম্যাক্রো-গবেষণার ধারায় বক্ষ্যমাণ গ্রন্থ মাইক্রো-গবেষণার অনুপম দৃষ্টান্ত হিসেবে পণ্ডিত-গবেষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সমাজবাস্তবতা, ইতিহাসচেতনা, কালজ্ঞান ও নান্দনিক মনস্তত্ত্বের সমন্বিত প্রেক্ষাপটে বিচার্য সাহিত্য-শিল্পকলার যে কোনো বিষয় ও অনুষঙ্গ। বর্তমান গ্রন্থে সচেতন পাঠক ও কৌতূহলী গবেষক আধুনিক সমালোচনা ও বিশ্লেষণ-চারিত্র্যের এসব বৈশিষ্ট্যের পরিচয় পাবেন নিঃসন্দেহে। সাবলীল ও গীতল এক গদ্যে ড. ঘোষ এখানে তুলে ধরেছেন বুদ্ধদেবের উপন্যাসে প্রতিফলিত নৈঃসঙ্গ্যচেতনার বহুমাত্রিক রূপ ও রূপান্তর- যা পাঠকের ভালো লাগবে বলে আমাদের বিশ্বাস।