উপমহাদেশের উর্দু গল্প
অনুবাদকের কথা উর্দু সার্কভুক্তদেশ ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভাষা। বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর উর্দুচর্চায় ভাটা পড়ে। তবু ও নানা প্রতিকূলতার মাঝে উর্দু কবি ও লেখকদের ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় উর্দু গল্প, কবিতা ও উপন্যাস গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হচ্ছে ঢাকা থেকে। আমি এই গ্রন্থের শুরুতে বাংলাদেশে উর্দু চর্চার ইতিবৃত্ত নিবন্ধে বাংলাদেশে উর্দু চর্চার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছি। অন্যদিকে উর্দু ছোটগল্পের ধারা নিবন্ধে উর্দু ভাষঅর উৎপত্তি ও ছোটগল্পের ধারা বর্ণনা করেছি। এ দুটি নিবন্ধ পাঠে বাংলাদেশের পাঠক বিশেষত: বিশ্ববিদ্যালয়ে উর্দু অধ্যয়নরত ছাত্র ছাত্রীরা উর্দু ছোটগল্পের অতীত ও বর্তমান অবস্থা জানতে পারবে এবং উপকৃত হবে। 1963 সালের মাঝামাঝি প্রেমচন্দ্রের ‘কফন’ গল্পই ছিল উর্দু ছোটগল্পের মাইল ফলক। তার পর মান্টোতে এসে উর্দু ছোটগল্প পরিণতি লাভ করে। বিগত পঞ্চাশ বছরে উর্দু ছোটগল্পে অনেক পরিবর্তন এসেছে। ষাটের দশক থেকে নতুন প্রজন্মের উর্দু লেখকরা ভিন্ন স্টাইলে উর্দু ছোটগল্প রচনায় মনোনিবেশ করে। এতে রচনার স্টাইল, চিন্তাধারা কৃষণ চন্দর, খাজা আহমদ আব্বাস, মাল্টো, রাজেন্দ্রসিং বেদী, ইসমতচুগতাই, রামনাল, গোলাম আব্বাস, মমতাজ শিরিন এবং হাসান আসকারীর গল্প থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাদের রচনায় উপস্থাপিত হয়েছে সমসাময়িক বিষয় আর দৈনন্দিন জীবনের নতুন চিন্তাচেতনা।....