Image Description

মৃত্যুক্ষুধা

৳150
Format Paperback
Language Bangla
ISBN 978 984 20 0121-5
Edition 1st
Pages 96

সাহিত্যকীর্তি গ্রন্থমালা আধুনিক বাংলা কথাসাহিত্যের একটি সিরিজ প্রকাশনা। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের হাত ধরেই আধুনিক বাংলা সাহিত্যে আখ্যায়িকার শুরু, এ-কথা বলা যায়। ১৮৫৪ সালে তিনি কবি কালিদাসের অভিজ্ঞানশকুন্তল নাটকের উপাখ্যানভাগ বাংলায় পরিবেশন করেন। এরপর প্রায় শতবর্ষ ধরে বাংলা কথাসাহিত্যের যে-বিকাশ তার শীর্ষস্থানীয় গ্রন্থগুলেকে পাঠকের কাছে একত্রে তুলে দেওয়ার আকাক্সক্ষা নিয়েই সিরিজটি পরিকল্পিত হয়েছে। সারা বিশ্বের বাংলাভাষীদের কাছে সাহিত্যকীর্তি গ্রন্থমালার ২৪টি বই একসঙ্গে পাওয়া অত্যন্ত খুশির বিষয় হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। আগামীতেও এরকম কিছু গ্রন্থ পাঠকের হাতে তুলে দিতে পারবো বলে আমরা আশা রাখি।

Kazi Nazrul Islam* / কাজী নজরুল ইসলাম*

মৃত্যুক্ষুধা (১৯৩০) কাজী নজরুল ইসলামের দ্বিতীয় উপন্যাস। ১৯২৬ সালে হুগলির বাস তুলে দিয়ে নজরুল কৃষ্ণনগরে চলে আসেন ৩ জানুয়ারি তারিখে। ম্যালেরিয়ার আক্রমণ থেকে তিনি তখনো মুক্ত হতে পারেন নি। সে-সময়ে কৃষ্ণনগরে নিখিল বঙ্গীয় প্রজা সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। সে-সম্মেলন উপলক্ষে নজরুল রচনা করেন ‘শ্রমিকের গান’ (‘ওরে ধ্বংসপথের যাত্রীদল!’) এবং সে-সম্মেলনেই গঠিত হয় বঙ্গীয় কৃষক ও শ্রমিক দল। তাছাড়া সেখানে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের বার্ষিক সম্মেলন, ছাত্র সম্মেলন এবং যুব সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হয়। এসব সম্মেলনে নজরুল যোগ দিয়েছিলেন এবং ‘কাণ্ডারী হুঁশিয়ার’, ‘ছাত্রদলের গান’ এবং ‘চল্ চল্ চল্’ গানটি যথাক্রমে এসব সম্মেলনের জন্যে লেখেন। এই বছরেই তিনি কেন্দ্রীয় আইনসভার নির্বাচনে ব্যর্থ প্রতিযোগিতা করেন। কৃষ্ণনগর নজরুল প্রথমে ওঠেন হেমন্তকুমার সরকারের পারিবারিক বাড়িতে, পরে চাঁদ সড়ক এলাকায় ভাড়াবাড়িতে চলে যান। এই এলাকায় শ্রমজীবী খ্রিষ্টান ও মুসলমানদের বাস। তাদের যে-জীবনযাত্রা তিনি তখন প্রত্যক্ষ করেন, তারই পরিচয় আমরা পাই মৃত্যুক্ষুধাতে। উপন্যাসটি কৃষনগরেই রচিত হয় এবং ১৩৩৪ সালের অগ্রহায়ণ থেকে ১৩৩৬ সালের ফাল্গুন পর্যন্ত সওগাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। গ্রন্থাকারে তা প্রকাশিত হয় ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে। ওই বৎসরেই রবীন্দ্রনাথের শেষের কবিতা প্রকাশলাভ করে, শেষ প্রশ্ন ছাড়া শরৎচন্দ্রের প্রায় সকল প্রধান উপন্যান এরই মধ্যে প্রকাশিত হয় এবং কল্লোল-যুগের লেখকেরা যে-ঝড় তোলেন, তার ফলস্বরূপ প্রেমেন্দ্র মিত্রের সাঁক, অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের বেদে এবং বুদ্ধদেব বসুর সাড়া প্রভৃতি আত্মপ্রকাশ করে। বাংলা সাহিত্যে নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনচিত্রণের যে-প্রবণতা তখন দেখা দিয়েছিল, নজরুলের মৃত্যুক্ষুধাকে তার সংলগ্ন করে দেখা যায়। মৃত্যুক্ষুধায় দু’টি কাহিনি আছে। এর প্রথম চোদ্দ পরিচ্ছেদ একান্তভাবে মেজবৌ ও যার শ্বশুরকূলের দারিদ্রপীড়িত সংসারের কাহিনি। পঞ্চদশ পরিচ্ছেদে বিপ্লবী আনসারের আবির্ভাব এবং সপ্তবিংশ পরিচ্ছেদ পর্যন্ত মুখ্যত তার রাজনীতি ও রুবির সঙ্গে প্রেমের কথা। এই দুই পর্ব যথাযথ সমন্বিত হয়নি, অধিকাংশ সমালোচকের এমনই মত। গজালের মা বাস করে তিনটি বিধবা পুত্রবধূ, তাদের বারোটি সন্তান, কনিষ্ঠ পুত্র মজুর ও রাজমিস্ত্রি প্যাঁকালে এবং স্বামীপরিত্যক্তা আসন্নপ্রসবা কন্যা পাঁচিকে নিয়ে। প্যাঁকালে যা উপার্জন করে, এতগুলি মুখের জন্যে তা যথেষ্ট নয়। বধূরাও চেষ্টা করে ধান বেনে, চিঁড়ে কুটে, কাঠ কুড়িয়ে, সুতো কেটে সংসারের দৈন্য কমাতে, কিন্তু সে-চেষ্টা আর কতটুকু ফলপ্রসূ হতে পারে! এই নিম্নশ্রেণির মুসলমান পরিবারের প্রতিবেশী দেশি খ্রিষ্টানেরাÑÑতারা যে খুব সম্ভাবে বসবাস করে, তা নয়, পরস্পরকে সহ্য করে, পরস্পরের বিরুদ্ধে গোমরায়, কিন্তু বড় রকমের ঝগড়া করার মতো উৎসব বা অবসর তারা পায় না। উপন্যাসের শুরু হয়েছে কমলতলায় জল আনতে যাওয়া মেয়েদের কলহ থেকে। খ্রিষ্টান মেয়ে ছুঁয়ে দিয়েছে মুসলমান মেয়ের কলসিÑÑতাতেই দু-পক্ষের মধ্যে কলহের সূত্রপাত। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেয় গজালের মা, অন্যপক্ষে হিড়িম্বা। তাদের ভাষা যেমন তীব্র, গালিগালাদের প্রয়োগ তেমনি ব্যাপক ও অর্থপূর্ণ। আবার পাঁচির সন্তানপ্রসবের সময়ে হিড়িম্বাকেই ডেকে আনে গজালের মা। হিড়িম্বা শুধু যে নির্দ্বিধায় সাহায্য করতে আসে, তাই নয়, তাকে আগে খবর দেওয়া হয়নি কেন, সে-অনুযোগও করে। মেজবৌয়ের অসুখে পাদরি সাহেব আসেন ওষুধ দিতেÑধর্মান্তরিত করা পাদরিদের উদ্দেশ্য হলও সেবাধর্মে তাঁরা পরাঙ্সুখ নন। অবশ্য তাতে অপুষ্টির শিকার মেজবৌকে বাঁচানো যায় না। ....মায়ের উদাসীনতায় মিশু মেজবৌ বলে, ‘শুকিয়ে মরলেও কেউ শুধোয় না এসে। ক্যঁস্টা মার নিজের জাতের মুখে, গেঁয়াতকুটুমের মুখে। সাধে সব খেরেস্তান হয়ে যায়।’ মেজবৌয়ের মৃত্যুতে দাঁতে দাঁত ঘষে মেজবৌ বলে, ‘অনেক ডেকেছি আল্লা, আজ আর তোমায় ডাকব না।’ এসব কথা থেকে মেজবৌয়ের প্রকৃতি কিছুটা ধরা পড়ে। মেজবৌয়ের রূপ পাড়ায় নিত্য আলোচনার বস্তু। সে-রূপ অনেকের চিত্তচাঞ্চল্যের কারণও। কিন্তু আসলে যা তাকে স্বাতন্ত্র্য দিয়েছে, তা তার তীক্ষ্ম বুদ্ধি, সূক্ষ্ম বিবেচনাশক্তি এবং নিজের মতো চলা ও ষ্পষ্ট কথা বলার দু:সাহস। দারিদ্রের বর্ণনায়, প্রতিবেশীদের কলহব্যাখ্যানে নজরুল যেমন তাঁর পর্যবেক্ষণশক্তির পরিচয় দিয়েছেন, তেমনি মেজবৌয়ের চরিত্রচিত্রণে তার উপন্যাসিকোচিত নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। অমন একটি সমাজে লালিত হয়েও মেজবৌয়ের কথাবার্তা, বেশবাসে, মুখের ভাষায়, রুচিতে যে-স্বাতন্ত্র্যের চিহ্ন আমরা দেখি, তার উৎস কোথায়, বলা মুশকিল, কিন্তু তা আরোপিত মনে হয় না। অভাবের নরককুম্ভ থেকে উস্ফার পাওয়ার আশায় মেজবৌ একদিন খ্রিষ্টান হয়ে যায়। খ্রিষ্টান হওয়ার প্রসঙ্গে সে আনসারকে বলেছিল, ‘আপনারা একটু একটু করে আমার খ্রিষ্টান করেছেন।’ সমাজের অনুদারতা ও হৃদয়হীনতা সম্পর্কে তার অভিযোগের যথার্থ্য আখ্যান থেকেই পাওয়া যায়। কিন্তু যে-সন্তানদের মুখ চেয়ে তার উদ্ধার পাওয়ার আকাক্সক্ষা, সেই সন্তানদের ফেলে রেখে তার চলে যাওয়াটা তার চরিত্রের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বলে মনে হয় না। তারপর খোকার অসুস্থতার সংবাদে বরিশাল থেকে দ্রুত কৃষ্ণনগরে ফিরে আসা এবং আবার মুসলমান হয়ে পাড়ার শিশুদের খাওয়ানো এবং তাদের জন্যে পাঠশালা স্থাপনের সংকল্পÑএসবের কোনো ভিত্তি উপন্যাসে রচিত হয়নি। আনসারের প্রতি তার আকস্মিক আকর্ষণও অস্বাভাবিক মনে হয় না, কিন্তু লতিফার বাড়িতে আনসারের পত্রপাঠের আগেই তার অসুস্থতা সম্পর্কে তার অনুমান এবং রুবির সঙ্গে সমকক্ষের মতো তার আচরণ ঠিক বাস্তবসম্মত মনে হয় না। তবে রুবি যখন তাকে জিজ্ঞাসা করে যে, সে অসুস্থ আনসারকে দেখতে অভিসারিকার মতো লুকিয়ে পালাবে কিনা, তার জবাবে মেজবৌ যা বলে, তার মধ্যে তার দাত্যই পাঠককে অভিভূত করে বেশি: আমার যাবার ইচ্ছা থাকলে তোমার বহু আগেই সেখানে গিয়ে উঠতাম ভাই রুবি বিবি। দু-মাস আগে এ-খবর পেলে কি করতাম জানি না! কিন্তু আজ আর আমার কোনো ভয়-ডর নেই। খোকাকে যদি না হারাতাম, এই খোকাদের যদি না পেতাম, তাহলে আমি সব-আগে তাঁকে সেবা করে ধন্য হতাম। এ-কথা বোধহয় রুবিকেও অভিভূত করে তেমনি। তাই যদিও সে আগেই লতিফাকে বলেছে যে, যে ওয়ালটেয়ারে যাবে, মেজবৌকে এখন প্রতি-নমস্কার জানিয়ে সে বলে, ‘তুমিই আমার পথ দেখালে।’ মৃত্যুক্ষুধার পঞ্চদশ পরিচ্ছেদে খেলাফতি ভলান্টিয়ারের পোশাকে আনসারের কৃষ্ণনগরে আগমন ও চাঁদসড়কে চাঞ্চল্যসৃষ্টি ঘটনার দিক ফিরে আকস্মিক। তার চালচলনে ও কথাবার্তায় নজরুলের প্রক্ষেপ খুবই স্পষ্ট। যদিও সে খদ্দরপরিহিত খেলাফতি, কিন্তু তার নিজের কথায়, ‘জেল থেকে ফিরে এসে অবধি আমার রাজনৈতিক মত বদলে গেছে।’ একদা চরকার অনুরাগী আনসার বলে, ‘আর সব দেশ মাথা কেউ স্বাধীন হতে পারছে না, আর এ দেশ কি সুতো কেটে স্বাধীন হবে? এ-কথা আমরা নজরুলের কবিতায় পেয়েছি। উপন্যাসিক বলছেন, ‘তার [আনসারের] কর্মময় জীবনে নারীমুখ চিন্তা ও দূরের কথা, দেখবারও ফুরসৎ নেই। সে জানে শুধু কার্ল-মার্ক্স, লেনিন, ট্রটস্কি, স্টালিন, কৃষক, শ্রমিক, পরাধীনতা, অর্থনীতি।’ শ্রমিক সংঘ স্থাপন করতেই তার কৃষ্ণনগরে আসা। সাম্যবাদের প্রতি নজরুলের আকর্ষণ এবং কৃষ্ণনগরে কৃষক ও শ্রমিক দল প্রতিষ্ঠার কথা এ-প্রসঙ্গে স্মরণীয়। তবে আনসারের যে নারীমুখের চিন্তা করার অবসর ছিল না, সে-কথা সম্পূর্ণ সত্য নয়। তার বিপ্লবী জীবনের সদাব্যস্ততার মধ্যেও রুবিকে সে স্মরণ করেছে এবং বহুকাল পরে ময়মনসিংহে তার সঙ্গে আবার দেখা হওয়ায় তার চিত্তও চঞ্চল হয়েছে। তাই কৃষ্ণনগরে এসে তার মনে হয়েছে, ‘সে সত্যিই দুঃখী। মানুষের শুধু পরাধীনতারই দুঃখ নাই, অন্য রকম দুঃখও আছেÑÑযা অতি গভীর, অতলস্পর্শী।’ কারাগারে গিয়ে সে দুরারোগ্য যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত হয়েছে এবং সেই কারণে ছাড়া পেয়ে সে ওয়ালটেয়ারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত যখন নিয়েছে, তখন সে রুবিকেই কামনা করেছে। রুবি চরিত্রও ব্যতিক্রমী। যে কালে ও যে সমাজে তর জন্ম, সে-কালে ও সে-সমাজে তার জীবনব্যঅপী আচরণ ও ভাবনা বিস্ময়কর। পিতার আদেশে যাকে সে বিয়ে করে, তাকে সে স্বামী বলে মেনে নেয়নি। স্বামী অল্পকালের মধ্যেই মারা যায়, কিন্তু এই বৈধব্য তাকে বড় বেদনা দিতে পারেনি। বিয়ের রাতে আনসারকে মনে করে সে যে-মালা গেঁথেছিল, বহুকাল পরে ময়মনসিংহে তার সঙ্গে দেখা হওয়ায় সে-মালা সে আনসারকে দিয়েছে। এসবের সম্ভাব্যতা পাঠকমনে প্রশ্ন জাগায়। বাপ-মাকে শান্তি দেওয়ার জন্যে সে নিরাভরণ রুক্ষবেশ ধারণ করেছে। সে মায়ের উপস্থিতিতেই আনসারকে বলেছে, ‘যাকে কোনদিনই জীবনে স্বীকার করি কি কোনো-কিছু দিয়ে, সেই হতভাগ্যেরই মৃত্যু-স্মৃতি আমায় বয়ে বেড়াতে হবে সারাটা জিন্দেগী ভরেÑÑনিজেকে এই অপমান করার দায় থেকে কী করে মুক্তি পাই, বলতে পার?’ আনসার একে নিষ্ঠুরতা বলেছে, তবে রুবি সে-অভিযোগ মেনে নেয়নি। মেষে আনসারের অন্তিম দিনগুলিতে রুবি ওয়ালটেয়ারে তার কাছে ছুটে গেছে এবং ক্ষুধিত অজগরের সর্বগ্রাসী আকর্ষণের কাছে নিজেকে সমর্পণ করেছে, আনসারের রোগ নিজের দেহে ধারণ করে মৃত্যুর প্রতীক্ষা করেছে। উপন্যাসে মৃত্যু ও ক্ষুধা শব্দদ্বয় একাধিক স্থানে প্রযুক্ত হয়েছে। আমরা সেই মৃত্যু ও ক্ষুধার উপস্থিতি দেখি গজালের মায়ের সংসারে, আবার যে-ক্ষুধা মৃত্যুতে পৌঁছে যায়, তার উপস্থিতি দেখি আনসার ও রুবির জীবনে। মৃত্যুক্ষুধা কথাসাহিত্যে নজরুলের সবচেয়ে পরিণত রচনা। এতে সমাজ-সমালোচনা আছে, ব্যক্তির সংকট এবং তার থেকে উত্তরণ প্রয়াসের চিত্র আছে। মেজবৌয়ের অনন্যসাধারণ পরিচত্রÑÑযা এই উপন্যাসের প্রধান অবলম্বনÑÑযেভাবে উপন্যাসিক অঙ্কন করেছেন, তার মধ্যে গভীর সহানুভূতি, মর্মবেদনা ও জীবনজিজ্ঞাসা আছে। আনসার ও রুবির মিলনের মধ্যেও আছে তাঁর সাহসিকতার পরিচয়। ব্যক্তি ও সমষ্টি সম্পর্কে যে-ভাবনা এতে ধরা পড়েছে, তাতে প্রতিফলিত হয়েছে রচয়িতার প্রগাঢ় জীবনবোধ। মৃত্যুক্ষুধা বাংলা সাহিত্যের একটি স্মরণীয় রচনা। বর্তমান মুদ্রণে আবদুল কাদির-সম্পাদিত নজরুল-রচনাবলীর (দ্বিতীয় খ-, নতুন সংস্করণ, ঢাকা ১৯৯৩) পাঠ অনুসৃত হয়েছে। বাংলা বিভাগ, আনিসুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়