কালের নায়ক [আহমদ ছফার জীবনী নির্ভর উপন্যাস]
একজন আজন্ম প্রতিবাদী মানুষ ছিলেন আহমদ ছফা। সব অসংগতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী এক দৃপ্ত কণ্ঠস্বর। তাঁর মধ্যে যেন ঐশ্বরিক কিছু ছিল। তাঁর দৃঢ়বিশ্বাস ছিল ইতিহাস এবং অমানবিক অবস্থান থেকে এদেশকে উত্থিত হয়ে হলে প্রয়োজন একটি পুনর্জাগরণের-- শিল্পে, সাহিত্যে, দর্শনে। নইলে রাজনীতি তো বটেই, আমাদের প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ড ভণ্ডুল হবে অশ্লীল কূপমণ্ডূকতায়, ঈর্ষায় আর খুনোখুনিতে। তিনি এমন একটা পুনর্জাগরণের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন জীবনভর। সাহিত্যকে তিনি পরিচর্যা করেছেন পিতৃসুলভ স্নেহে। তাঁর মত এত তীব্রভাবে এদশকে হয়ত আর কেউ ভালোবাসতে পারেন নি। তাঁর পা দুটো ছিল যেন শেকড়ের মত মাটির ভিতর প্রোথিত। তিনি বলতেন, ‘আমি একটা ইতিহাসের ভিতর থেকে উঠে এসেছি।’ খোদ ইতিহাসের ভিতর থেকে যার উত্থান, সেও এক ইতিহাস। তিনি তাঁর আচরণে, তাঁর দেশপ্রেম ও দৃঢ়তায়, স্পষ্টবাদিতায় ও নির্ভীকতায় নায়ক হয়ে দেখা দিয়েছেন বারে বারে। তিনি জন্মেছিলেন 1943 সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষলগ্নে; মৃত্যু 2001 সালে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে 2001-এর এই দীর্ঘ রাজনৈতিক ও সামাজিক পটভূমিকায় বেড়ে ওঠা সদা সরব একজন লেখক-সর্বোপরি একজন পুরুষোত্তম মানুষের জীবনচরিত এই উপন্যাস। কালের নায়ক।