একা একা একাকার
ভীষণ চঞ্চল আর নজরকাড়া সুন্দরী তরুণী রেহানা। বিকশায় তার সহযাত্রী হয়েছে প্রাচ্য। তবু রেহানার কোনো বিকার নেই। রিকশায় ওঠার পর থেকে সে একমনে বকবক করে চলে। রেহানা সিনেমায় নামলে নাকি বাংলা সিনেমার কোনো নায়িকাই আর পাত্তা পাবে না। ... বকবকানির মধ্যেই প্রাচ্য ডুবে যায় আপন জগতে- একটা 35 মিমি ক্যামেরার পেছনে সে দাঁড়িয়ে আছে। ডান হাতে থাকা চিত্রনাট্য পড়ছে গভীর মনোযোগ দিয়ে। সামনে কয়েকজন কলাকুশলীর জটলা। প্রাচ্য নির্দেশ দেয়, রোলিং...থ্রি-টু-ওয়ান... অ্যাকশন...। ঘুমে-জাগরণে এই স্বপ্নটা তাকে আচ্ছন্ন করে রাখে। তার স্বপ্ন কি পূরণ হবে? রেহানাও কি পারবে চিত্রনায়িকা হতে? প্রাচ্যর সঙ্গে মৌমিতা, সুরমা, জলির সম্পর্কেরই বা পরিণতি কী? কাহিনীর আরেক কেন্দ্রীয় চরিত্র আরমান। একদিন রাতে ডিম লাইটের আলোয় ভাঁজ করা কম্বল খুলে শায়লার গায়ে জড়িয়ে দেয় আরমান। তখনই ঘটল অঘটন। আরমান কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার মুখটাকে নিজের দিকে টেনে নেন নেশাগ্রস্ত শায়লা। নিজের উষ্ণ ঠোঁটে ছোঁয়ান আরমানের ঠোঁট। ... কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় এ সম্পর্ক? নানা টানপোড়েন, স্বপ্ন আর বাস্তবতার সংঘাতে সুখপাঠ্য এক উপন্যাস একা একা একাকার।