Image Description

নান্দনিক অশ্রু

৳70
Format Paperback
Language Bangla
ISBN 984 8193 41-3
Edition 1st
Pages 96

আমার এই উপন্যাসের নায়িকা বাস্তবের একজন সুদর্শনা নারী। ১৯৯৪ সালে এক বিয়েবাড়িতে তার সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় হয়। তারপর কেটে গেছে আটটি বছর। তার সঙ্গে আর কখনো দেখা হয়নি। কিন্তু ২০০১-এর জুলাই মাসে ঘটনাচক্রে একদিন একটি চিঠি লিখে তাকে আমন্ত্রণ জানালাম। সে এলো, আমি ওকে দেখে অভিভূত হলাম। আমার দেখা শ্যামলা মেয়েদের থেকে সে ছিল ব্যতিক্রম। আর ওকে দেখে মনে হলো, ও এমনই একটা মেয়ে যাকে ভালোবেসে মরে যেতেও কোনো দুঃখ নেই। আমি ওর নাম দিলাম মহিমা। মহিমার ভালোবাসায়, আন্তরিকতায়, স্বতঃস্ফুর্ততায় এমন কিছু ছিল যা আমাকে দেখালো স্বপ্নালোকের চাবি; আমার ভেতরে জাগালো এক অপূর্ব প্রেম! আমি ওর ভালোবাসার বৃষ্টিজলে ভিজতে ভিজতে একাকার হয়ে আমার অন্তরের অনন্য গহ্বর থেকে টেনে বের করলাম একজন অমলকে। যে তার মহিমাকে ভালোবেসে আত্ম-বলিদান দিতে পারে। বিলিয়ে দিতে পারে সমস্ত সুখ! যে মহিমার স্মৃতি বুকে নিয়ে কাটিয়ে দিতে পারে সারাটা জীবন। এমন একজন অমলকে আমি সৃষ্টি করেছি আমার ভেতরে, লিখেছি এই উপন্যাস। আমার কাছে, আমার লেখা উপন্যাসগুলির মধ্যে এটিই প্রিয় উপন্যাস।

Sirajun Nahar Shati / সিরাজুন নাহার সাথী

সিরাজুন নাহার সাথী একাধারে কবি ও কথাকার। কবিতায় তিনি রোমান্টিক বটে কিন্তু উপন্যাসে যথেষ্ট জীবনবাদী। অবশ্য তা ভিন্নধর্মী। সংসারের চৌহদ্দি তাঁর বিচরণক্ষেত্র সীমায়িত করলেও উপলব্ধির ওপর তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। দূর থেকেই দেখতে পেয়েছেন জীবনের অন্ধি সন্ধি। আর তাই তাঁর পক্ষে একাধিক কাব্য রচনা করা যেমন সম্ভব হয়েছে, তেমনি একাধিক উপন্যাস লেখাও হয়েছে সহজসাধ্য। দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সিরাজুন নাহার সাথী নীলফামারী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করছেন রাজশাহীতে। এই দুই জনপদের জীবন তাঁর ভাবনায় যেভাবে ধরা পড়েছে সেভাবেই প্রকাশ পেয়েছে তাঁর লেখায়- কবিতা এবং উপন্যাসে। সাহিত্যের দু’টো মাধ্যমেই স্বচ্ছন্দ বিচরণশীল হলেও হালে উপন্যাসেই তিনি পাঠকপ্রিয় হয়েছেন। যে বিশেষ গুণে তিনি গুণাম্বিত তাহলো পুরুষের প্রতি নারীর যে স্বাভাবিক আকর্ষণ সে বিষয়ে তিনি অনেকটাই নিস্পৃহ। নারী হলেও নারীর প্রতিই তাঁর মমত্ববোধ বেশি এবং তা তাঁর প্রায় সব লেখাতেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। উপন্যাসও তার ব্যতিক্রম নয়। আশা করি আগের উপন্যাসগুলোর মতোই তাঁর ‘আমার দ্বিতীয় সত্তা ও ইলোরা’ অধিক পাঠকপ্রিয়তা পাবে এবং সাথী সাহিত্য গজতে আরো একধাপ এগিয়ে যাবেন। তছাড়া নানা বাধা-বিঘ্নকে অস্বীকার করেও তিনি যে অব্যাহত গতিতে লিখে যাচ্ছেন তা সবার ক্ষেত্রে সহজ নয়। এদিক থেকেও তিনি বিশেষ বৈশিষ্টের অধিকারী সে কথা মানতেই হয়। ফজলুল হক সভাপতি রাজশাহী সাহিত্য পরিষদ