নান্দনিক অশ্রু
আমার এই উপন্যাসের নায়িকা বাস্তবের একজন সুদর্শনা নারী। ১৯৯৪ সালে এক বিয়েবাড়িতে তার সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় হয়। তারপর কেটে গেছে আটটি বছর। তার সঙ্গে আর কখনো দেখা হয়নি। কিন্তু ২০০১-এর জুলাই মাসে ঘটনাচক্রে একদিন একটি চিঠি লিখে তাকে আমন্ত্রণ জানালাম। সে এলো, আমি ওকে দেখে অভিভূত হলাম। আমার দেখা শ্যামলা মেয়েদের থেকে সে ছিল ব্যতিক্রম। আর ওকে দেখে মনে হলো, ও এমনই একটা মেয়ে যাকে ভালোবেসে মরে যেতেও কোনো দুঃখ নেই। আমি ওর নাম দিলাম মহিমা। মহিমার ভালোবাসায়, আন্তরিকতায়, স্বতঃস্ফুর্ততায় এমন কিছু ছিল যা আমাকে দেখালো স্বপ্নালোকের চাবি; আমার ভেতরে জাগালো এক অপূর্ব প্রেম! আমি ওর ভালোবাসার বৃষ্টিজলে ভিজতে ভিজতে একাকার হয়ে আমার অন্তরের অনন্য গহ্বর থেকে টেনে বের করলাম একজন অমলকে। যে তার মহিমাকে ভালোবেসে আত্ম-বলিদান দিতে পারে। বিলিয়ে দিতে পারে সমস্ত সুখ! যে মহিমার স্মৃতি বুকে নিয়ে কাটিয়ে দিতে পারে সারাটা জীবন। এমন একজন অমলকে আমি সৃষ্টি করেছি আমার ভেতরে, লিখেছি এই উপন্যাস। আমার কাছে, আমার লেখা উপন্যাসগুলির মধ্যে এটিই প্রিয় উপন্যাস।