কোরআনে নারী; ইতিহাস, দর্শন ও আধুনিকতা
শিল্পসাহিত্যে আকর্ষণ ও আগ্রহের কেন্দ্রে আছে নারী ও নারীচরিত। ধর্ম থেকেও তাই বাদ পড়েনি নারী, তবে সামগ্রিকভাবে সাহিত্যে, সমাজে ও ধর্মে নারীকে তুলনামূলকভাবে এক দুর্বল শ্রেণি হিসেবেই বিবেচনা করে হয়েছে। তার বিপরীতে বৈজ্ঞানিক গবেষণা আজ প্রমাণ করেছে, নারী পুরুষের চেয়ে শারীরিক ও মানসিক উভয় দিক থেকেই শক্তিশালী। সৃষ্টির শুরুতে নারী ও পুরুষ ছিলো এক ও অভিন্ন সত্তা; পরবর্তীতে সেই একক সত্তা থেকে সমতার ভিত্তিতেই সৃষ্টি হয়েছে নারী ও পুরুষ। নারী আদম বা পুরুষের পাঁজরের বাঁকা হাড় থেকে সৃষ্ট নয়। আর হাওয়া আদমকে গন্ধম ফল খেতে প্ররোচিত করেছিলেন বলে যে মিথ বা কল্পকাহিনি প্রচলিত আছে, সেই অপসত্যের বিপরীত প্রমাণই লেখক কোরআন থেকে এনে হাজির করেছেন কোরআনে নারী: ইতিহাস, দর্শন ও আধুনিকতা বইতে। কোরআনে বর্ণিত নারী চরিত্রগুলোকে লেখক আদি ব্যাখ্যাকারদের প্রচলিত প্রাচীন দৃষ্টিভঙ্গির বিপরীতে সম্পূর্ণ নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে পাঠকের কাছে তুলে ধরেছেন। এ চরিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছেন আদি মাতা হাওয়া, জুলেখা, বিবি হাজেরা, মরিয়ম, রানি বিলকিস, মুসার জননী ও পালক মা, নবি শোয়ায়েবের কন্যা প্রমুখ। পুরুষতান্ত্রিক ব্যাখ্যা থেকে সরে এসে কোরআনের নারী চরিত্রগুলোকে তিনি মানবিক মানুষের প্রতিরূপ হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন। এই বইয়ের পাঠক শুধু নারীই নন, প্রতিটি পুরুষও এর অবশ্যম্ভাবী পাঠক। এ বই পাঠে তিনি কখনো লজ্জিত হবেন, কখনো উজ্জীবিত হবেন। আবার কখনো ব্যথিত, উদ্বিগ্ন ও আবেগতাড়িত হবেন।